শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ অপরাহ্ন
রাসেল মোল্লা, কলাপাড়া
পটুয়াখালী, সকল কল্পনা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ
৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার শহীদ শেখ কামাল স্মৃতি কমপ্লেক্স দীর্ঘ একযুগ পর
পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উক্ত সম্মেলনে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদে একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও এদের মধ্যে তৃণমূলের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন পৌর সভার ২নং ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র জননন্দিত নেতা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সকালের পরিচিত মুখ মোঃ হুমায়ুন কবির।
জানা যায়, সারাদেশে বিএনপি ও জামাত-শিবিরের নৈরাজ্যেকে প্রতিহত করতে যুবলীগের নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করতে কাজ করছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। এর ধারাবাহিকতায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য ও ক্লিন ইমেজ খ্যাত যুবলীগ নেতাদের বেছে বেছে সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের দায়িত্ব কাঁদে দিচ্ছেন।কলাপাড়ায় এর ব্যতিক্রম ঘটবে না বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে ।
কথা হয় তৃণমূল যুবলীগ কর্মী মোহাম্মদ রায়হান, শহিদুল, জাফর, সোহেল, কাওসার, রমেশ চন্দ্র দাস সহ আরো অনেকের সাথে তারা বলেন, আমাদের তৃণমূলের যুবলীগের নেতা কর্মীদের একমাত্র ভরসা কর্মী বান্ধব নেতা মোঃ হুমায়ুন কবির ভাই তিনি ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন এরপর ১৯৯০ সালে কলাপাড়া উপজেলা তৃণমূল কর্মী হিসাবে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রীয় হয় ওঠেন।১৯৯১থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সফল ভাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কলাপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত উপজেলা যুবলীগের সকল দলীয় কর্মকাণ্ডে আমাদের মত শত শত কর্মীদের নিয়ে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন করে আসছেন।
তিনি ১৯৯০ এর স্বৈরাচার সরকারের পতনের আন্দোলনে কলাপাড়ার রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে একাধিক রাজনৈতিক মামলা ও হামলার শিকার হন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে দলের সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেন। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিএনপি সহ চার দলীয় জোটের সরকার পতনের আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে তিনিসহ তার তিন ভাই একাধিক বার কারাবরণ করেন। এছাড়া ১/১১ কলাপাড়ায় এবং রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কারণে কয়েকবার কারাবরণ করতে হয় তাকে । তাই আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর আসন্ন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুবলীগের কলাপাড়া উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে তৃণমূল নেতাকর্মীদে একমাত্র ভরসা তিনি। আমরা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেখতে চাই তাকে ।আমরা তৃণমূল নেতা কর্মীরা আমাদের সুখে-দুঃক্ষে সব সময় কবির ভাই কে পাশে পাই। কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগে তার কোন বিকল্প নেই।
কথা হয়, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রত্যাশী পৌর কাউন্সিলের প্যানেল মেয়র মোঃ হুমায়ুন কবিরের সাথে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করেছি প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম । হামলা ও মামলার শিকার হয়ে একাধিক কারাবরণ করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশে বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার নির্দেশে রাজপথে ছিলাম, আগামীতেও থাকবো। আমাকে যদি উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করা হয় তবে,তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দলকে শক্তিশালী করব। জামাত-শিবির বিএনপির নৈরাজ্যেকে রাজপথে থেকে শক্ত হাতে দমন করব ইনশাআল্লাহ ।